Ticker

6/recent/ticker-posts

শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসব ২০২৫: বিশ্বভারতীর নতুন সিদ্ধান্ত

visva-bharati-basanta-utsav-2025.png
চিত্র -সংগৃহীত
 নিজস্ব সংবাদদাতা, বোলপুর: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করেছে যে দোলপূর্ণিমার দিন, ১৪ মার্চ ২০২৪-এ শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসব পালিত হবে না। পরিবর্তে, ১১ মার্চ অভ্যন্তরীণভাবে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর বসন্তোৎসবে শুধুমাত্র বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অধ্যাপক এবং আশ্রমিকরাই অংশগ্রহণ করবেন। বহিরাগতদের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বসন্তোৎসব পালনের নতুন সিদ্ধান্ত

শুক্রবার, এক দীর্ঘ বৈঠকের পর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেয়। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ঘরোয়া পরিবেশে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রের মর্যাদা রক্ষা করতেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০২৩ সালে শান্তিনিকেতন: বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রের মর্যাদা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রের তকমা পেয়েছে। দোলের দিন পর্যটকদের অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে ঐতিহ্যক্ষেত্রের গরিমা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ২০১৯ সালের পর থেকে বহিরাগতদের অংশগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।

২০১৯ সালের পর বসন্তোৎসবের পরিবর্তন

২০১৯ সালে শেষবার আশ্রম মাঠে বসন্তোৎসব উদযাপিত হয়েছিল। এরপর করোনা অতিমারীর কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে এই উৎসব বন্ধ থাকে। তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন এবং দোলপূর্ণিমার পরিবর্তে অন্যদিন বসন্তোৎসব পালনের সিদ্ধান্ত নেন।

২০২৪ সালের বসন্তোৎসবের পরিকল্পনা

বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেছেন, "শান্তিনিকেতন এখন ইউনেস্কোর তকমা পাওয়া বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র। তাই হেরিটেজ রক্ষা করতে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১১ মার্চ শুধুমাত্র শিক্ষার্থী, অধ্যাপক এবং আশ্রমিকদের উপস্থিতিতে বসন্তোৎসব পালন করা হবে।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বক্তব্য:

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ জানিয়েছেন, "বিশ্বভারতী এখন ইউনেসকোর তকমা পাওয়া বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র। তাই আমরা কোনোভাবেই এই ঐতিহ্য নষ্ট করতে চাই না।

"শান্তিনিকেতন", "বসন্তোৎসব"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ