![]() |
অনলাইনে শিক্ষক-শিক্ষিকার বদলির পোর্টাল চালু হল প্রায় আড়াই বছর পর। |
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ থাকা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বদলির জন্য নির্ধারিত উৎসশ্রী পোর্টাল ফের চালু হয়েছে। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুধুমাত্র পারস্পরিক বদলি (মিউচুয়াল ট্রান্সফার) কার্যকর করা হয়েছে। তবে সাধারণ বদলি (জেনারেল ট্রান্সফার) এবং বিশেষ বদলি (স্পেশাল ট্রান্সফার) আপাতত বন্ধই থাকছে। এই নির্দেশিকা ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
Transfer
উৎসশ্রী পোর্টাল: ইতিহাস ও পুনরায় চালু হওয়ার কারণ
উৎসশ্রী পোর্টাল প্রথম চালু হয় ২০২১ সালে, যা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বদলির প্রক্রিয়া ডিজিটালি সম্পন্ন করার জন্য তৈরি হয়েছিল। এই পোর্টালের মাধ্যমে কর্মীরা সরাসরি অনলাইনে বদলির আবেদন করতে পারেন। তবে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এটি বন্ধ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর, পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দফতর ২০২৫ সালের শুরু থেকেই এটি পুনরায় চালু করেছে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বর্তমানে শুধুমাত্র পারস্পরিক বদলির আবেদন অনুমোদিত হবে। তবে সাধারণ ও বিশেষ বদলির আবেদনগুলি এখনও স্থগিত রয়েছে।
কেন সাধারণ এবং বিশেষ বদলি বন্ধ?
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, উচ্চ প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং কাউন্সেলিং চলমান থাকায় সাধারণ ও বিশেষ বদলির আবেদন আপাতত স্থগিত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC) জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
job transfer
শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া
শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের সংগঠনগুলো উৎসশ্রী পোর্টাল পুনরায় চালু হওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন,
"মিউচুয়াল ট্রান্সফার চালু হওয়ায় আমরা খুশি। তবে সাধারণ ও বিশেষ বদলির অফলাইন আবেদনের দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।"
প্রধান শিক্ষক সংগঠনের সম্পাদক চন্দন মাইতি উল্লেখ করেন,
সরকারকে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন তালিকা সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
বর্তমান নির্দেশিকা ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এর পর স্কুল শিক্ষা দফতর নতুন নির্দেশিকা জারি করতে পারে। ২০২২ সালে বন্ধ হওয়া সাধারণ ও বিশেষ বদলির অনুরোধগুলির কী হবে, তা নিয়ে শিক্ষক ও কর্মীরা এখনও উদ্বিগ্ন।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের শূন্য পদ পূরণ না করে সাধারণ বদলির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। তবে কর্মীদের চাপ থাকায় স্কুল শিক্ষা দফতর এবং WBSSC ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সমাধান আনতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ