![]() |
তিব্বতের ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে ধ্বংস হওয়া বাড়ি এবং ধ্বংসস্তূপ |
তিব্বতে একদিনের ব্যবধানে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫:৫২ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প দেশটির শিজাং (Xizang) অঞ্চলে আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৬ কিলোমিটার গভীরে, যা ভারতের জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (NCS) নিশ্চিত করেছে। এর আগে একই দিনে ৭.১ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে অন্তত ১২৬ জনের প্রাণহানি ঘটে এবং আহত হয় ১৮৮ জন।
প্রধান তথ্য:
- সময়: ৭ জানুয়ারি ২০২৫, বিকেল ৫:৫২ (IST)
- কেন্দ্র: ২৮.৩৮° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭.৪৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ
- গভীরতা: ১৬ কিলোমিটার
প্রাথমিক ভূমিকম্পের প্রভাব:
এর আগে সকালে হওয়া ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প চীনের তিংরি কাউন্টিতে (Tingri County) আঘাত হানে, যা শিগাতসে (Shigatse) শহর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে এবং নেপালের কাছাকাছি। এই ভূমিকম্পে ১২৬ জনের মৃত্যু ঘটে এবং ১৫০টির বেশি আফটারশক রিপোর্ট করা হয়। আফটারশকগুলো আরও আতঙ্ক তৈরি করেছে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ:
- ১,০০০টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
- শীতকালীন উচ্চ-অঞ্চলের ঠাণ্ডার মধ্যে বাসিন্দারা চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
- তিংরি কাউন্টি ও এর আশপাশে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
উদ্ধার কার্যক্রম:৩,০০০ এর বেশি উদ্ধারকর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধারে এবং ক্ষয়ক্ষতি কমাতে "সর্বাত্মক প্রচেষ্টা" চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিব্বতের শীতল উচ্চভূমি এলাকায় সাহায্য পৌঁছানোর জন্য সরকার ১০০ মিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ১৩.৬ মিলিয়ন ডলার) বরাদ্দ করেছে।
প্রতিবেশী দেশেও প্রভাব: নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতেও কম্পন অনুভূত হয়। আতঙ্কিত মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
প্রাকৃতিক কারণ:হিমালয় অঞ্চলে ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষের কারণে এই অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।
0 মন্তব্যসমূহ