![]() |
শান্তিনিকেতনে পৌষ উৎসবে রবীন্দ্রনাথ। সঙ্গে আছেন ক্ষিতিমোহন সেন, সাগরময় ঘোষও। |
Poush Mela
শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা শুধুমাত্র একটি মেলা নয়, এটি বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জীবন্ত প্রতীক। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম এই মেলার ধারণা শুরু করেন কলকাতার গোরিটির বাগানে। তার পঞ্চাশ বছর পরে, ১৮৯১ সালের ৭ পৌষ (বাংলা ১২৯৮ সাল) থেকে শান্তিনিকেতনে বিশেষ আঙ্গিকে পৌষ উৎসব পালন শুরু হয়। অবশেষে, ১৮৯৪ সালে মহর্ষির ট্রাস্ট ডিড অনুসারে, শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। তবে মহর্ষি নিজে কখনো শান্তিনিকেতনের মন্দির বা মেলা দেখতে পারেননি।
History and Tradition
অতীতের স্মৃতি: গুরুদেব ও পৌষ উৎসব
অমিতা দেব বলতেন, “সাতই পৌষের উৎসব শান্তিনিকেতনের দুর্গোৎসব যেন। ভোরবেলায় বৈতালিকে ‘আমার মুখের কথা তোমার নাম দিয়ে দাও ধুয়ে’ গানটি গেয়ে আশ্রম পরিক্রমা করতাম।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মন্দিরে দেওয়া ভাষণ ছিল দর্শকদের কাছে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। তিনি বলেছিলেন, “... আজ এই পুণ্যদিনের প্রথম ভোরের আলোতে উৎসব দেবতার উজ্জ্বল বেশ পরে আমাদের সকলের সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন। জাগো, আশ্রমবাসী সকলে জাগো।”
বিশেষ আয়োজন: বাজি পোড়ানো ও সৃষ্টিশীলতার চূড়ান্ত প্রকাশ
মেলার রাতের আকাশ আলোকিত করে বাজি পোড়ানোর অনুষ্ঠান। এর শেষ পর্যায়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুখাবয়ব ফুটে ওঠে, যা এক সৃষ্টিশীল বিস্ময়।
শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা শুধু উৎসব নয়, এটি আমাদের ঐতিহ্যের প্রতীক। এখানে আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের মিশ্রণ এক অনন্য রূপে প্রকাশ পায়। মেলার স্মৃতি ও ঐতিহ্য আমাদের সংস্কৃতির শিকড়কে জীবন্ত রাখে।
0 মন্তব্যসমূহ