ওটাওয়া: দীর্ঘদিন ধরে ভারত বিরোধী অবস্থান এবং দলীয় কোন্দলের জেরে অবশেষে কানাডার প্রধানমন্ত্রী এবং কানাডিয়ান লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জাস্টিন ট্রুডো। সোমবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তাঁর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তিনি। পরিবার এবং সন্তানদের সঙ্গে আলোচনার পর এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানান ট্রুডো।
ভারত বিরোধিতার পটভূমি ও পরিণতি
জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বে কানাডা ও ভারতের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ তিক্ত হয়ে ওঠে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক কয়েক মাসে ভারতের বিরুদ্ধে তোলা একাধিক অভিযোগ আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্ক সৃষ্টি করে। তাঁর এই ভারত বিরোধী নীতি দেশের ভেতরেও সমালোচনার মুখে পড়ে।
দলীয় চাপ ও পদত্যাগের কারণ
ট্রুডোর বিরুদ্ধে তাঁর নিজের দলের মধ্যেও অসন্তোষ বাড়ছিল। কানাডিয়ান লিবারেল পার্টির একাংশ তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর জন্য সক্রিয় হয়েছিল। দলীয় কোন্দল এবং বিরোধী পক্ষের চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়েই ট্রুডো পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
সরকারের অচলাবস্থার আশঙ্কা
ইস্তফার পর কানাডার গভর্নর জেনারেলকে সরকার ও সংসদ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেছেন ট্রুডো। তবে তাঁর মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে যেতে পারে। তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে সরকার কার্যত পঙ্গু হয়ে গেছে।”
বিরোধী নেতার প্রতি অভিযোগ
পদত্যাগ করলেও ট্রুডো বিরোধী দলের নেতা পিয়েরে পোইলিয়েভার সমালোচনা করেছেন। তাঁর মতে, পিয়েরে দেশের নেতৃত্বের জন্য আদর্শ নন এবং লিবারেল পার্টিকে পরাজিত করতে অপপ্রচার চালিয়েছেন।
পরবর্তী ধাপ:
ট্রুডোর পদত্যাগ কানাডার রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে। আগামী দিনে কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নজরে থাকবে বিশ্ববাসীর।
0 মন্তব্যসমূহ