![]() |
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ়-জ়ামান। ছবি: social media। |
বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সাম্প্রতিক কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ়-জ়ামানের সাম্প্রতিক মন্তব্য এবং দুই দেশের মৎস্যজীবীদের প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।
বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের বার্তা
বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ়-জ়ামান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ঢাকা এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না যা ভারতের কৌশলগত স্বার্থের পরিপন্থী। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া উচিত। তাঁর কথায়, “এটা একটা দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।”
জেনারেল ওয়াকার ভারতের সঙ্গে সীমান্তে সংঘর্ষ এড়ানো, প্রাপ্য জলবণ্টনের অধিকার এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
মৎস্যজীবীদের প্রত্যাবর্তন: আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ হিসাবে, ভারত ও বাংলাদেশে আটক থাকা মৎস্যজীবী ও নৌকর্মীদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী:
- বাংলাদেশ থেকে মুক্তি পাচ্ছেন: ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী এবং ছয়টি ফিশিং বোট।
- ভারত থেকে মুক্তি পাচ্ছেন: ৯০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী এবং দুটি ফিশিং ভেসেল।
এই প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক জলসীমায় রবিবারের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কীভাবে আটক হয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা?
গত অক্টোবর ও নভেম্বরে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ ধরার সময় ভারতীয় মৎস্যজীবীরা আটক হন। অন্যদিকে, ভারতেও বিভিন্ন কারণে আটক হন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গত ডিসেম্বরের প্রতিকূল আবহাওয়ায় বাংলাদেশের দুই ফিশিং ভেসেলসহ ৭৮ জনের আটক হওয়া। এছাড়া আরও ১২ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপে আটক ছিলেন।
সম্পর্কের ভবিষ্যৎ: একটি ভারসাম্যের চেষ্টা
কূটনীতিকদের মতে, সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপগুলো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভারসাম্য তৈরিতে সহায়ক হবে। তবে, এই সম্পর্ক কতটা টেকসই হবে, তা নির্ভর করছে ভবিষ্যতের পদক্ষেপগুলোর ওপর।
0 মন্তব্যসমূহ