Ticker

6/recent/ticker-posts

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার, গ্রেফতার এক পাচারকারী

অবৈধ সোনা পাচার: সীমান্তে বিএসএফের জালে এক পাচারকারী গ্রেফতার —abpo চিত্র।
 ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ফের একটি বড় সাফল্য অর্জন করল। মঙ্গলবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চরভদ্র এলাকায় ১৪৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের আওতায় বিপুল পরিমাণ সোনা পাচারের চেষ্টা রুখে দিল বিএসএফ। এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার কাছ থেকে প্রায় ৩৬ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকার সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।

কীভাবে ধরা পড়ল পাচারকারী?

বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে এক ব্যক্তি সোনার বিস্কুট এবং একটি সোনার কয়েন নিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। সীমান্ত পেরিয়ে চরভদ্র এলাকায় প্রবেশ করতেই বিএসএফ জওয়ানদের তৎপরতায় ধরা পড়েন তিনি। তাঁর চালচলন এবং কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশির সময় তাঁর পোশাকের মধ্যে লুকানো অবস্থায় সোনাগুলি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া সোনার বিবরণ:

  • উদ্ধারকৃত সোনা: ৩টি সোনার বিস্কুট এবং একটি সোনার কয়েন
  • মূল্য: ₹৩৬,৭৩,৭৪৭ (ভারতীয় টাকা)

ধৃত পাচারকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে নাঈম শেখ নামে। তাঁকে জলঙ্গি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং উদ্ধার হওয়া সোনা শুল্ক দফতরের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

সীমান্তে বিএসএফের সক্রিয়তা:

বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এনকে পাণ্ডে বলেন,
"শীতের কুয়াশার সুযোগ নিয়ে পাচারকারীরা সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অতিসক্রিয়তা এবং স্থানীয়দের সহযোগিতার মাধ্যমে পাচারের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে।"

সীমান্তে চ্যালেঞ্জ এবং প্রচেষ্টা:শীতের সময় কুয়াশার কারণে সীমান্তে পাচারের ঘটনা বেড়ে যায়। বিএসএফের তৎপরতার ফলে সীমান্তের কাঁটাতারের এপারে চোরাচালানের পরিকল্পনা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত টহল এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা বাড়িয়ে বিএসএফ এই ধরনের অপতৎপরতা রোধে কাজ করছে।
সতর্ক থাকার আহ্বান:বিএসএফ স্থানীয় মানুষদের কাছে আবেদন জানিয়েছে, তারা যেন পাচার সংক্রান্ত যে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন। এতে সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা সম্ভব।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের সক্রিয়তার কারণে আরও একটি সোনা পাচারের চক্রান্ত ব্যর্থ হলো। সীমান্তরক্ষীদের তৎপরতা এবং স্থানীয়দের সহযোগিতা ভবিষ্যতেও এই ধরনের ঘটনা রুখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ