Ticker

6/recent/ticker-posts

গাজায় যুদ্ধবিরতির পথে ইজরায়েল-হামাস, বিদায়ী বাইডেন সরকারের বড় পদক্ষেপ

gaza-war-ceasefire-biden-netanyahu-hamas.jpg
চলতি সপ্তাহেই যুদ্ধবিরতি গাজ়ায়!
 গাজায় চলমান সংঘাত অবসানে ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে শিগগিরই একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে। বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে এই শান্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির পথে কূটনৈতিক অগ্রগতি

ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দফতরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আলোচনা ইতিবাচক এবং কয়েক দিনের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি ও পণবন্দি মুক্তি সংক্রান্ত চুক্তি হতে পারে। হামাসের এক শীর্ষ নেতা সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, গাজায় শান্তি ফেরাতে কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছেন।

বাইডেন প্রশাসনের ভূমিকা

আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহেই চুক্তি হতে পারে। বাইডেন নিজে কাতারের আমিরের সঙ্গে ফোনে কথা বলে যুদ্ধবিরতির আলোচনা সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, বাইডেন প্রশাসনের এই উদ্যোগ তার বিদায়ী সময়কে ঐতিহাসিক সাফল্যে রূপান্তরিত করতে পারে।

সংঘাতের পটভূমি

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, হামাসের আকস্মিক আক্রমণের পর ইজরায়েলের সেনা গাজা ভূখণ্ডে ব্যাপক হামলা শুরু করে। এই হামলায় ধ্বংসযজ্ঞ এবং প্রাণহানির ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহল ক্ষুব্ধ। বাইডেন ইজরায়েলের হামলাকে ‘ওভার দ্য টপ’ বা ‘অতিরিক্ত’ বলে উল্লেখ করেন, যা নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ উস্কে দেয়।

সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি

যদি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সময়ে গাজায় শান্তি ফেরানো সম্ভব হয়, তবে এটি কূটনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর অন্যতম সাফল্য হিসাবে বিবেচিত হবে। বিশেষত, পণবন্দি মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে আমেরিকার ভূমিকা বিশ্বমঞ্চে প্রশংসিত হতে পারে।

বাইডেন প্রশাসনের শেষ পর্যায়ের এই উদ্যোগ গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ