স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য কলারের পরিচয় জানার সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর মধ্যে একটি হলো ‘ট্রু কলার’। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নম্বরের সঠিক তথ্য সরবরাহ করে। তবে সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব ক্ষেত্রে এর উপর নির্ভর করা নিরাপদ নয়। প্রতারকরা এখন এই অ্যাপ ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ঠকানোর কৌশল আবিষ্কার করেছে।
সাইবার অপরাধের নতুন কৌশল: ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’
এক প্রতারণার ঘটনা ঘটে বেহালার এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর সঙ্গে। অচেনা নম্বর থেকে ফোন পেয়ে তিনি ট্রু কলারে নম্বর যাচাই করেন। সেখানে এক আইপিএস অফিসারের নাম দেখায়। ফোন ধরার পর প্রতারক নিজেকে মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তা পরিচয় দেন। ভয়ের সুযোগ নিয়ে ওই যুবককে মাদক পাচারের অভিযোগে ফাঁসানো হয়।
প্রতারণার চক্র:
১. ভীতি প্রদর্শন:
যুবককে বলা হয়, তিনি গুজরাট সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচারে যুক্ত। তাকে গ্রেফতারের হুমকি দেওয়া হয়।
২. সমাধানের প্রতিশ্রুতি:
প্রতারকরা বলে, ডিজিটাল অ্যারেস্ট থেকে বাঁচতে আইনজীবীর সাহায্য নিতে হবে। ভিডিয়ো কলে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়।
৩. অর্থ আদায়:
ভিডিয়ো কলে আইনজীবীর পরিচয়ে থাকা প্রতারক ৬০ হাজার টাকা অনলাইনে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
৪. বোকা বানানোর চূড়ান্ত ধাপ:
টাকা পাঠানোর পর ভুয়া ‘জামিন রসিদ’ দেওয়া হয়, কিন্তু পরে আর কোনও যোগাযোগ করা হয় না।
এ ধরনের প্রতারণা এড়ানোর উপায়:
ট্রু কলার যাচাইয়ের পরও সতর্ক থাকুন:
শুধু ট্রু কলারের তথ্যের উপর নির্ভর করবেন না। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সরাসরি যোগাযোগ করুন।অপরিচিত লিঙ্ক এড়িয়ে চলুন:
কোনও লিঙ্কে ক্লিক করার আগে তা যাচাই করুন।আর্থিক লেনদেনের আগে নিশ্চিত হন:
পুলিশ বা আইনি সংস্থা সরাসরি অর্থ দাবি করে না। এ ধরনের দাবিকে সন্দেহজনক মনে করুন।সাইবার অপরাধের তথ্য দিন:
সন্দেহজনক ফোন পেলে তা দ্রুত সাইবার ক্রাইম সেলে রিপোর্ট করুন।
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের জন্য কৌশল:
- কীওয়ার্ড ব্যবহার:
ট্রু কলার প্রতারণা, ডিজিটাল অ্যারেস্ট, সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ ইত্যাদি শব্দবার ব্যবহার করুন। - উপশিরোনাম এবং বুলেট পয়েন্ট:
বিষয়বস্তু সহজবোধ্য করতে উপশিরোনাম ও তালিকা ব্যবহার করুন। - ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল লিংক:
সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্যের লিঙ্ক যুক্ত করুন।
সতর্ক থাকুন, সুরক্ষিত থাকুন। ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদ এড়িয়ে সচেতনতার সঙ্গে প্রযুক্তি ব্যবহার করুন।
0 মন্তব্যসমূহ