Ticker

6/recent/ticker-posts

বাংলাদেশ পাঠ্যবই বিতর্ক: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বদল নিয়ে বিতর্ক

www.banglabit.xyz
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান(বাংলাদেশ ) ও জিয়াউর রহমান (চিত্র -ফেইসবুক)
 

বাংলাদেশে পাঠ্যবই বিতর্ক: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বদল নিয়ে তুমুল আলোচনা

ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। স্কুলের পাঠ্যবইয়ে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের তথ্য পরিবর্তন করে শেখ মুজিবর রহমানের পরিবর্তে জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে। এই পরিবর্তন নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।

বিতর্কের সূত্রপাত

বাংলাদেশ ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সটবুক বোর্ড (NCTB)-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর একেএম রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন পাঠ্যবইগুলো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে পড়ানো হবে। নতুন পাঠ্যবই অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। এর পরের দিন, ২৭ মার্চ তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে আবারও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

ইতিহাস পরিবর্তনের দাবি

পাঠ্যবই সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত গবেষক রাখাল রাহা জানিয়েছেন, পাঠ্য থেকে অতিরঞ্জিত তথ্য বাদ দিয়ে নতুন প্রজন্মকে সত্য ইতিহাস শেখানো তাঁদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণার দাবির কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই, তাই সেগুলি পাঠ্যবই থেকে সরানো হয়েছে।”

সমালোচনার ঝড়

এই পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শুধু শেখ মুজিবর রহমানের অবদানকে খাটো করার প্রচেষ্টা নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। অনেকেই এটিকে রাজনৈতিক প্রভাবিত সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন।

বিতর্কিত পাঠ্যবই বিতরণ

বাংলাদেশের প্রথম সারির ইংরেজি দৈনিক ‘ডেইলি স্টার’ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন পাঠ্যবইগুলো ১ জানুয়ারি থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এতে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

রাজনৈতিক প্রভাব

এ পরিবর্তনের পেছনে অন্তবর্তীকালীন সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা। অনেকে মনে করছেন, এটি ইতিহাসকে পুনর্লিখনের চেষ্টা, যা রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য করা হচ্ছে।

পাঠ্যবই বিতর্কের প্রভাব

এই বিতর্ক ইতোমধ্যেই সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ধরে রাখার দাবি জানিয়ে বিশিষ্ট নাগরিক, শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযোদ্ধারা আন্দোলন করার হুমকি দিয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ