![]() |
নবম শ্রেণির দুই ছাত্রী জ্যোতি মণ্ডল এবং মোহিনী সরকার |
মূর্তি আবিষ্কারের বিবরণ
মাটি খুঁড়ে তোলা মাটির স্তুপে মূর্তিটি আবিষ্কার করা হয়। ছাত্রীদ্বয় মূর্তিটি স্কুলের ভূগোলের শিক্ষিকা সঙ্ঘমিত্রা পালিত এবং ইংরেজি শিক্ষিকা করুণা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নিয়ে যান। শিক্ষিকারা মূর্তিটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বুঝতে পেরে তা স্কুলের প্রধানশিক্ষক সৈকত দাসের কাছে জানান।
গবেষণা এবং প্রত্নতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ
স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক বিশ্বরূপ দে জানান, মূর্তিটি গুপ্ত যুগের হতে পারে। তাঁর পরামর্শে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ বিভাগের (ASI) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মূর্তির ছবি পাঠানোর পর ASI-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি একটি বহুমূল্য ঐতিহাসিক নিদর্শন।
১৮ জানুয়ারি, ASI-এর কলকাতা সার্কেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট সঞ্জয় পণ্ডা এবং প্রদীপ কর স্কুলে এসে মূর্তিটি পরীক্ষা করেন। তাঁরা জানান, মূর্তিটি সম্ভবত গুপ্ত যুগের পরবর্তী সময়কালের এবং বেলেপাথরে তৈরি।
মূর্তিটির সুরক্ষা ব্যবস্থা
স্কুল কর্তৃপক্ষ মূর্তিটি সেফ ভল্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। ASI-এর পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী, মূর্তিটি নিয়ে গবেষণা করা হবে এবং এর প্রকৃত সময়কাল নির্ধারণ করা হবে।
গঙ্গা তীরবর্তী প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের গুরুত্ব
ASI-এর বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় গঙ্গা এই অঞ্চলের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হত। দুই ২৪ পরগনায় এ ধরনের অনেক প্রাচীন মূর্তি আবিষ্কৃত হয়েছে। ব্যান্ডেলের এই বিষ্ণুমূর্তিও বাংলার প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
মূর্তির ঐতিহাসিক গুরুত্ব
গুপ্ত যুগের সময়কাল (খ্রিষ্টীয় ৩২০-৫৫০) ভারতীয় শিল্প ও সংস্কৃতির এক সোনালি অধ্যায় হিসেবে পরিচিত। এই মূর্তিটি সেই সময়কার শিল্পকলার উৎকর্ষ এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতীক। গবেষণার পর এর আরও বিস্তারিত তথ্য উঠে আসবে।
উপসংহার
ব্যান্ডেলের স্কুলে আবিষ্কৃত বিষ্ণুমূর্তি বাংলার ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন। এই ঘটনাটি প্রত্নতত্ত্ব ও ইতিহাসের ছাত্রছাত্রীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
0 মন্তব্যসমূহ